মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে নানান
আয়োজনে আনুষ্ঠানিকতা যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে ঐতিহাসিক ৭মার্চ দিবস পালিত হয়েছে।সদর দপ্তর ছাড়াও দেশের ৬৪জেলায় ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে পৃথক পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় সদর দপ্তরে
জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
এতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান এবং রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করেন মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম। এ সময় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা লুনা, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সোসাইটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকবৃন্দসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যুব ও স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের পরপরই সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান সোসাইটির সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সদর দপ্তর চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই এদেশের মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের বীজ বপন হয়। তাঁর ভাষণই বাঙালিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত”। সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন,“প্রকৃত অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজও লড়াই চলছে। আর সরকারের এই লড়াইয়ে সহযোগি হিসেবে শামিল আছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।”এসময় তিনি সোসাইটির প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের স্বার্থে কাজ করার পরামর্শ দেন।
পরে সোসাইটির ইউনিট এ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক নাজমা পারভীনের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সোসাইটির লিগাল এ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ একরাম পলাশ সহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা,কর্মচারি এবং যুব-স্বেচ্ছাসেবকরা।
Leave a Reply